শুক্রবার, ২৮ জুলাই, ২০১৭

ভারতের ভাগ্য-বিপ্লব - ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত

পূর্বকার দেশাচার        কিছুমাত্র নাহি আর
       অনাচারে অবিরত রত।
কোথা পূর্ব রীতি নীতি,   অধর্মের প্রতি প্রীতি,
       শ্রুতি হয় শ্রুতিপথহত।।
দেশের দারুণ দুখ       দেখিয়া বিদরে বুক,
       চিন্তায় চঞ্চল হয় মন।
লিখিতে লেখনী কাঁদে     ম্লানমুখ মসীছাঁদে
       শোক-অশ্রু করে বরিষণ।।
কি ছিল কি হ', আহা,     আর কি হইবে তাহা,
       ভারতের ভবভরা যশ।
ঘুচিবে সকল রিষ্টি       হবে সদা সুখ-বৃষ্টি,
       সর্বাধারে সঞ্চারিবে রস।।
সুরব সৌরভ হয়ে        দশদিকে যশ লয়ে,
       প্রকাশিবে শুভ সমাচার।
স্বাধীনতা মাতৃস্নেহে       ভারতের জরা-দেহে
       করিবেন শোভার সঞ্চার।।
দুর হবে সব ক্লান্তি       পলাবে প্রবলা ভ্রান্তি,
       শান্তিজল হবে বরিষণ।
পুণ্যভূমি পুনর্বার         পূর্বসুখ সহকার,
       প্রাপ্ত হবে জীবন যৌবন।।
প্রবীণা নবীনা হয়ে       সন্তানসমূহ লয়ে
       কোলে করি করিবে পালন।
সুধাসম স্তন্যপানে        জননীর মুখপানে
       একদৃষ্টে করিবে ঈক্ষণ।।
এরূপ স্বপনমত,              কত হয় মনোগত,
       মনোমত ভাবের সঞ্চার।
ফলে তাহা কবে হবে     প্রসূতির হাহারবে,
       সূত সবে করে হাহাকার।।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন