দেরি হলো কি খুব? আমি সাত-সাতটা দরজা
খুলে, চুপচাপ, ফিরে এলাম
তোমার কাছে।
তোমার কাছে।
এই
সেই শহর যার সুন্দর দুটো ডানা আছে। দুপাশে মুখঢাকা বাড়ি,
ভেতরে ফিসফিসানি আর চকার-বকার।
আর নিত্যনতুন বাহানা
আর গান।
ভেতরে ফিসফিসানি আর চকার-বকার।
আর নিত্যনতুন বাহানা
আর গান।
এই আমার সমুদ্র যেখানে বাজনা ছাড়াই নাচ দেখাতাম আমি। খানাপিনার
ডাক পড়তো কোনোদিন...। ছোট্টো ঘরটা, যার নীচে বকুলফুলের মতো
সিগারেট-টুকরো পড়ে থাকতো, দিনরাত কথা বলতো আমার
সঙ্গে, আমি
সরে গিয়েছিলাম দূরে। হাঁসফাসানি আর প্রায় নাভিশ্বাস-সমেত। পাথরের
টুকরোগুলোই কি শুধু সত্যি কথা বলে? আর মেঘ, মেঘ যখন
ঢুকে পড়ে দোকানে আর মালকিনের মুখের ওপর ভাসতে
থাকে, তখন, তখন কোন কথা?
ডাক পড়তো কোনোদিন...। ছোট্টো ঘরটা, যার নীচে বকুলফুলের মতো
সিগারেট-টুকরো পড়ে থাকতো, দিনরাত কথা বলতো আমার
সঙ্গে, আমি
সরে গিয়েছিলাম দূরে। হাঁসফাসানি আর প্রায় নাভিশ্বাস-সমেত। পাথরের
টুকরোগুলোই কি শুধু সত্যি কথা বলে? আর মেঘ, মেঘ যখন
ঢুকে পড়ে দোকানে আর মালকিনের মুখের ওপর ভাসতে
থাকে, তখন, তখন কোন কথা?
গড়িয়ে গড়িয়ে কোথায় যেতে চেয়েছিলাম আমি? কোন গ্রামে, পাহাড়ে, কোন
রাজবাড়িতে? আমাদের গাড়ি, মনে পড়ছে, বাড়িগুলোর প্রায় উঠোন
দিয়ে ছুটছিল। সে এক মজার গল্প। আর এখন
শৈল সুইটস-এ যখন ঝাড়পোঁছ চলছে
রাজবাড়িতে? আমাদের গাড়ি, মনে পড়ছে, বাড়িগুলোর প্রায় উঠোন
দিয়ে ছুটছিল। সে এক মজার গল্প। আর এখন
শৈল সুইটস-এ যখন ঝাড়পোঁছ চলছে
আততায়ী আর নিহতের মধ্যবর্তী শূন্যতা যখন গমগম করছে, চাবুকরানী
ফ্যানটা বনবন ঘুরছে আমি লিখতে চাইছি নতুন কিছু আর
দেখছি আমার মাথাটা ভর্তি হয়ে যাচ্ছে ধোঁয়ায়...যখন
আমার ঘুম পাবে আমি ভাবনাটা
ফ্যানটা বনবন ঘুরছে আমি লিখতে চাইছি নতুন কিছু আর
দেখছি আমার মাথাটা ভর্তি হয়ে যাচ্ছে ধোঁয়ায়...যখন
আমার ঘুম পাবে আমি ভাবনাটা
ভাঁজ করে রেখে দেবো মাথার পাশে-- ওস্তাদ, বিষ নেই এমন কোনো
মানুষ, আমরা কি আর খুঁজে পাবো না শহরে?
মানুষ, আমরা কি আর খুঁজে পাবো না শহরে?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন